ষ্টাফ রিপোর্টার: প্রভাবশালী মহলের সহযোগীতায় অপরাধ জগতের ডন বনে যাওয়া হাবিবুর রহমান হাবিব ক্রমেই দুর্ধর্ষ হয়ে উঠছেন! নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বদানকারী হাবিব এলাকায় গড়ে তুলেছেন একাধিক বাহিনী। যাদের মাধ্যমে পুরো রূপগঞ্জের অপরাধ জগত এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি।
এ প্রতিবেদক সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলেন। তারা সবাই হাবিবের ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে অনেক মানুষ জানান, রূপসী এলাকার অসহায় দরিদ্র ঘরের ছেলে হাবিবুর রহমান এক সময় খেয়ে না খেয়ে জীবন-যাপন করতেন। হঠাৎ কোনো এক প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ক্রমেই দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠেন হাবিব। একের পর এক এলাকার অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। রাতারাতি এলাকার লোকজনের কাছে পরিচিতি লাভ করেন বালু খেকো হাবিব।
অল্প দিনের মধ্যেই গড়ে তোলেন নিজস্ব ব্যবসায়িক কার্যালয়। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বর্তমানে সে শত শত কোটি টাকার মালিক। বালু হাবিব সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বহু দিন ধরে সিটি মিলের শিপিং ঘাটে চোরাই তেল ও বিদেশি মদের ব্যবসা করে আসছে তারই ঘনিষ্ঠ সহযোগী সন্ত্রাসী ফেরদাউস। বরাব এলাকার চিন্হিত মাদক ব্যবসায়ী বাহার আলী কলিজা ও মিজান।
বালু হাবিবের সহযোগীতায় নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে তার পালিত একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী। এছাড়া বালু হাবিবের ভূমি দখলকারী একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। যারা রাতের আঁধারে অন্যের জমিতে বালু ভরাট করে জমি দখল করে নেয়। হাবিব বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা, হত্যা, খুন, গুম সহ নানা অভিযোগ থাকলেও প্রভাবশালি মহলের ইশারায় বরাবরই প্রশাসন থেকে যায় নিরবে। যে কারণে সাধারণ জনগণ হাবিব বাহিনীর বিরুদ্ধে টু শব্দটি করার সাহস পাচ্ছেন না।
এদিকে, বালু হাবিব অপরাধ স্বর্গরাজ্য পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে এবার রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। সাধারণ ভোটারদের প্রশ্ন আমরা কি আমাদের ভোট নির্ভয় চিত্তে প্রয়োগ করতে পারব? নাকি সেখানেও বালু হাবিবের লোকজন লুটে নিবে আমাদের মতামত! এই চিন্তায় দিন পার করছেন এলাকার লোকজন।