চন্দ্রগঞ্জের ত্রাস মঞ্জুর ভাইয়ের ভাইরাল ভিডিওতে এলাকায় আতংক !

চন্দ্রগঞ্জের ত্রাস মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ১৩নং দিঘলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন মঞ্জু মেম্বারের পরিবারের সদস্যদের অবিচার, অত্যাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ জীবন যাপন করছিল এখানকার জনগন। এখানে মঞ্জু পরিবার নানা অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। তাদের ক্ষমতা ও দলীয় প্রভাবে পুরো এলাকায় বিস্তার লাভ করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, চুরি-ডাকাতি, হত্যা ও নারী কেলেংকারীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের বহু তথ্য প্রমান এখন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে। একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে মঞ্জু মেম্বারের অবৈধ্য ও অনৈতিক প্রভাবে তার পুরো পরিবার বেপরোয়া ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। তার আপন ছোট ভাই নান্টু, এলাকায় নান্টু ডাকাত নামে পরিচিত। সে একাধিক মানুষকে হত্যা করেছে বলে এলাকাবাসী জানায়। এছাড়া নান্টু বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিশেষ করে অপহরণ ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত।

দূর্গাপুর গ্রামের সাকায়েত উল্ল্যাহর ছেলে কবিরকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে গুলি করে হত্যা করে এই নান্টু। দুর্ধর্ষ এই সন্ত্রাসী মপিজের ছেলে বাবর ও দাসের হাটের জিল্লালকে দিবালোকে হত্যা করে। তার বড় ভাই মিন্টু দিঘলী বাজারে পান ব্যবসার আড়ালে দিদারসে চালিয়ে যাচ্ছে অনলাইন জুয়ার ব্যাবসার।

তার আরেক ছোট ভাই টোকাই বাবলু ঢাকায় মাদক, ছিনতাই ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত। সে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন মানুষের ফরমায়েশে ছিনতাই, অপহরণ এবং মাদক বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। সে বিগত ১৮/৬/২৫ তারিখে ফেইসবুক লাইভে এসে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মানুষকে দেখে নেবার হুমকি দিয়ে একটি বক্তব্য পোস্ট করে, যা এরইমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। নান্টু ক্যাডারের ভাই রেজাউল করিম বাবলু চার মামলার পলাতক আসামি। অথচ ফেসবুক লাইভে এসে বিএনপির নেতা কর্মীদের এবং সাধারণ মানুষজনকে বিভিন্নভাবে দেখে নেবার হুমকি দিচ্ছে।


প্রকাশ্যে তার এই বক্তব্য দেয়ার পর এলাকার জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন কোন সাহসে সে এখনো জনগণকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনছেন না কেন? সে কত বড় শক্তিশালী, যে তার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না?
৫ আগষ্টের আগেই সুযোগ বুঝে মঞ্জু মেম্বার বিদেশে চলে যায়। কিন্তু তার ভাই নান্টু ডাকাত ও বাবলু চোরা এখনো এলাকায় থেকে নিয়মিত অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমজনতার প্রশ্ন কার সেল্টারে তারা এখনো অপকর্মে বহাল তবিয়তে? এ বিষয়ে চন্দ্রগ্রহণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এলাকার জনগণ অতি দ্রুত সন্ত্রাসী এসব অপকর্মকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। তারা মনে করেন যত দ্রুত সম্ভব এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে পারলে দেশ ও জাতির কল্যাণ হবে এবং উন্নত হবে আইন-শৃঙ্খলা।