নড়াইল সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বাসনা মল্লিক যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। নড়াইলে বাসনা মল্লিক (৪৫) নামের এক নারী ইউপি সদস্যকে যৌন নির্যাতনে করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক ও এলাকার সূত্রে অভিযোগ, পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রথমে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয় এবং পরে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ওই নারীর পরকিয়ার জেরে যৌন হয়রানির স্বীকার হয়ে নিজেই লজ্জায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
বাসনা মল্লিক নড়াইলের মাইজপাড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর সদর হাসপাতালে মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত শেষে আজ (২৭ ডিসেম্বর)শুক্রবার তাকে গ্রামে সমাধিস্থ করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার তিনি ইউনিয়ন পরিষদে টিবিসি পণ্য বিতরণে যান। পরে তিনি বাড়ি ফিরে না আসায় স্বামী নেপাল মল্লিক তাকে খুঁজতে বের হন। দৌলতপুর বাজারে পেয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকে বাসনা বমি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নেপাল মল্লিক অভিযোগ করেন, তার স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়। তবে তাদের কাছে বাসনা মল্লিক টাকা পেতেন সে বিষয় কিছুই জানাতে পারেননি তিনি। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে বাসনা মল্লিককে হত্যার আগে যৌন নির্যাতন ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার ছেলে রিংকু মল্লিক। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমার মা কোনো কিছুই বলেনি। এদিকে বাসনা মল্লিকের মেয়ে, ছেলে, প্রতিবেশি,মাইজপাড়া ইউপি সদস্যবৃন্দ এই হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্তে করে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন করেন।
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইন চার্জ সাজেদুল ইসলাম বলেন, এলাকার সূত্রে যতটুকু জানাতে পেরেছি তাতে ধারণা করা হচ্ছে পরকিয়ার জেরে যৌন হয়রানির স্বীকার হয়ে বাসনা মল্লিক নিজেই লজ্জায় বিষপানে আত্মহত্য করেছেন।